* বয়সের ভারে ন্যুব্জ, এক কিলোমিটার হেঁটে বসে রেস্ট নেওয়া লাগে আগে বাড়ানোর পূর্বে। তবুও, মাথায় সারাক্ষণ ঘুরপাক চলে- কিভাবে দুনিয়ার এক চিলতে নতুন দৃশ্য নয়ন সম্মুখে উন্মোচন হবে, কিভাবে হৃদয়ের তপ্ত কড়াই তৃপ্ত হবে।
* মুরিদ হয়েছি ইবনে বতুতা এবং সৈয়দ মুজতবা আলীর। নাম ধারণ করেছি ”মুরিদ-এ-ইবনে বতুতা”। ইচ্ছে এবং স্বপ্ন হচ্ছে- তামাম দুনিয়া ভ্রমণ করতে। কিন্তু দিনশেষে আমি মা ও জন্মভূমির প্রতিই অনুরক্ত, ভক্ত। মা ও মাটি ছাড়া অসহায়। মৃত্যুটা যেন মায়ের বুকে, দেহটা যেন এই মাটির বুকে স্থান পায়। মধূসুদনের কাছ থেকে ধার নিলাম-
”সতত, হে নদ, তুমি পড় মোর মনে!
সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে;
বহু দেশ দেখিয়াছি বহু নদ-দলে,
কিন্তু এ স্নেহের তৃষ্ণা মিটে কার জলে?
দুগ্ধ-স্রোতোরূপী তুমি জন্মভূমি-স্তনে।”
* দায়িত্ববোধের কাছে জগত-সংসার আমার কাছে মামুলি ব্যাপার। কর্মই ধর্ম, পরিশ্রম করেই এগিয়ে যাচ্ছি। প্রতি ফোঁটা ঘাম-বিন্দুর মূল্য আমি জানি।
* যখন কোন কিছু পেতে ইচ্ছে করে তখন তা অর্জনের জন্য নিজের সমস্ত ভালোবাসা, ইচ্ছা, ধৈর্য্য ও শক্তি দিয়ে অর্জনের চেষ্টা করি, কখনো সফল হই, কখনো বিফল। বিফলতা আমাকে কখনো নিরাশ বা হতাশ করতে পারে না। হতাশাই আমার সফলতার চাবিকাঠি।
* তৈলাক্ততা আমার স্বভাব বিরুদ্ধ, কিন্তু যার যা সম্মান, শ্রদ্ধা- তা যথাযতভাবে স্বীকারে এতটুকু কার্পণ্য করি না। মানুষকে বয়স দিয়ে নয়, কর্ম দ্বারা মূল্যায়ন করি। ঈমান বা বিশ্বাসে আমি একাগ্র। যাকে যে কারণে পছন্দ করতে হবে, সে কারণে প্রশংসা করি। যে কারণে অপছন্দ, সে কারণে ঘৃণা করি।
* ঝোঁকের বশে যে কোন কর্ম সম্পাদনে আমার জুড়ি নেই…যাই হয় হোক পরে দেখা যাবে এই মনোভাবের কারণে। পরে খেসারত দিতে থাকি নানাভাবে।
* চারিত্রিক দোষ আছে, প্রতিটি আশরাফুল মাখলুকাতের দোষের মতই।
* নমনিয়তা আমার পছন্দ, কৃপনতা অপছন্দ।
* দু’মুঠো ঘরের আতপ চালের ভাত ছাড়া আমি অচল। আমার চাহিদা অত্যন্ত অল্প, তবে ভোজনরসিক।